মুহাম্মদ আরিফ,স্টাফ রিপোর্টার: ভোলা দৌলতখান উপজেলার খায়ের হাট বাজারের পাশেই রয়েছে ৩০ শয্যা সরকারি হাসপাতাল কিন্তু নেই কোন ডাক্তার ও নার্স। এই খানে আশপাশ মিলিয়ে ১লক্ষ ৫০ হাজারের ও ওদিক মানুষের বসবাস। তাদের চিকিৎসা সেবা পাওয়ার একমাত্র স্থান খায়েরহাট ৩০ শয্যা সরকারি হাসপাতাল। তবে ডাক্তার ও নার্স না থাকায় গত এক মাস ধরে হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা বন্ধ রয়েছে। এখানকার মানুষ আগে এ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা পেলেও এক মাস ধরে পুরোপুরি চিকিৎসা সেবা বন্ধ রয়েছে হাসপাতালে।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালে কোন ডাক্তার নেই, নার্স থাকলেও তারা নেই কর্মস্থলে, হাসপাতালে ৮ জন কর্মী থাকলেও কর্মস্থলে পাওয়া গেছে ২ জনকে।
খায়ের হাট হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা বলেন, আমরা প্রতিদিন হাসপাতালে আসি ডাক্তার দেখানোর জন্য কিন্তু এসে দেখি কোন ডাক্তার নাই। আমরা গরীব মানুষ আমাদের কাছে এত টাকা নেই যে আমরা শহরে গিয়ে ডাক্তার দেখাবো, দ্রুত ডাক্তার দেওয়ার দাবি জানিয়েছে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা।
স্থানীয়রা বলেন, দীর্ঘ ১ মাস ধরে আমাদের হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা বন্ধ রয়েছে, এখানে কোন ডাক্তার আসে না হাসপাতালে যারা চাকরি করে তারাও হাসপাতালে আসে না , তারা বাসায় বসে বসে বেতন নেয়। আমাদের কারো যদি সমস্যা হয় প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য গেল ও হাসপাতালে কোন চিকিৎসা মিলে না। এখানে প্রতিদিন ২০০ এর অধিক রোগী ডাক্তার দেখাতে আসে। কিন্তু ডাক্তার না থাকার কারণে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে তারা। হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা বন্ধ থাকায় আমাদের এখানে দুই লক্ষ মানুষ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত।
এ বিষয়ে ডাঃ আরফিন রশীদ ( ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক) মুঠোফোনে জানান, কিছুদিন আগেও আমাদের হাসপাতালে দুজন মেডিকেল অফিসার ছিল। তখন আমাদের এখানে সকল রোগের চিকিৎসা দেওয়া হতো, জটিল কোন রোগ থাকলে তাদের ভোলা সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়। মেডিকেল অফিসার হাসপাতাল থেকে যাওয়ার পরে, আমাদের ইনডোর চিকিৎসা দেওয়ার মত ডাক্তার না থাকায় বন্ধ হয়ে যায়। আমি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছি আশা করি দ্রুত এখানে মেডিকেল অফিসার দিবে ।
এ বিষয়ে ডাঃ মনিরুল ইসলাম (সিভিল সার্জন) বলেন, ওইখানে ৮ জন ডাক্তার থাকার কথা থাকলেও রয়েছে ১জন ডেলটা ডাক্তার , ডাক্তার না থাকায় সেখানে রোগী ভর্তি ও চিকিৎসা সেবা বন্ধ রয়েছে। এ বিষয় নিয়ে আমি কথা বলেছি ।আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধান হবে।