Dhaka ১০:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
বগুড়ার কাহালুর দূর্গাপুর ইউনিয়ন বিএনপিনেতা মরহুম আব্দুস সামাদের স্বরণ সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত অধিগ্রহণকৃত ভুমির মূল্য পরিশোধসহ পুনর্বাসনের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন বিএনপির নেতার পারিবারিক উদ্যোগে কম্বল বিতরণ হৃদয়ে সৈয়দপুর সংগঠনের সহযোগিতায় প্রাণ ফিরে পেল রশিদুলের দোকান রৌমারীতে বিজিবি কর্তৃক ভারতীয় চারটি গরু উদ্ধার নওগাঁয় ডাকাতিসহ গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় আন্তঃজেলার ডাকাত দলের ৭ সদস্য গ্রেপ্তার খুলনা নগরীর শিববা‌ড়ি মো‌ড়ে যৌথ বাহিনীর অভিনব কায়দায় শাস্তি লালপুরে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে একজন আটক রৌমারীতে বিজিবি কর্তৃক জনসচেতনতা মূলক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত মুজিবনগরে ১৮ টি স্বর্ণের বারসহ ভারতীয় নাগরিক আটক
নোটিশঃ
প্রিয়" পাঠকগণ", "শুভাকাঙ্ক্ষী" ও প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে জানানো যাচ্ছে:- কিছুদিন যাবত কিছু প্রতারক চক্র দৈনিক ক্রাইম তালাশ এর নাম ব্যবহার করে প্রতিনিধি নিয়োগ ও বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। তার সাথে একটি সক্রিয় চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন গ্রুপ বিভিন্ন ভাবে "দৈনিক ক্রাইম তালাশ"কে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মনে রাখবেন "দৈনিক ক্রাইম তালাশ" এর অফিসিয়াল পেজ বা নিম্নের দুটি নাম্বার ব্যাতিত কোন রকম লেনদেনে জড়াবেন না। মোবাইল: 01867329107 হটলাইন: 01935355252

১০ ডিসেম্বর ভোলায় মুক্ত দিবস পালিত

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৯:১২:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ২২ Time View

মুহাম্মদ আরিফ,স্টাফ রিপোর্টার,ভোলা: ১৯৭১ সালের ১০ ডিসেন্বর পাকিস্তানি হানাদার হাত থেকে মুক্ত হয় ভোলা। এ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় সময় ভোলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সামনে থেকে র‌্যালিটি বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক পদক্ষিণ করে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়।

এসময় জেলা প্রশাসন, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা,
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সন্তান ,কমান্ডসহ বিভিন্ন সংগঠন র‌্যালিতে অংশ গ্রহণ করেন।

র‌্যালি শেষে ১০ ডিসেম্বর উপলক্ষে জেলা প্রশাসকের হলরুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজাদ জাহান সভাপতিত্বে,এসময় বক্তব্য রাখেন, সাবেক জেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাজান ,বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক ভোলা পৌরসভার মেয়র শফিউর রহমান কিরণ, সাবেক উপজেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহফুজুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী আবুর কাশেম ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল ইসলাম প্রমূখ।

এসময় বক্তারা ১৯৭১ সালের মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে পাক হানাদার বাহিনীর সম্মুখ যুদ্ধ হয় ভোলার ঘুইংঘারহাট, দৌলতখান, বাংলাবাজার, বোরহানউদ্দিনের দেউলা ও চরফ্যাশন বাজারে। ওই সব যুদ্ধে শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা শাহাদাত বরণ করেন। পাশাপাশি বহু পাক সেনাও মারা যায়।
পাক-হানাদার বাহিনীরা বহু নারীকে ক্যাম্পে ধরে এনে রাতভর নির্যাতন করে সকাল বেলা নির্মমভাবে হত্যা করে। তৎকালীন সময়ে অগণিত মানুষ মারা যায় ওই হানাদার বাহিনীর হাতে। সেখানে গণকবর দেওয়া হয় নিহতদের। সেটি এখন বধ্য ভুমি। মুক্তিযোদ্ধের সৃস্মিচারণ করে বলেন, ১৯৭১ সালের এই দিনে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবল প্রতিরোধের মূখে টিকতে না পেরে ভোলা থেকে লঞ্চযোগে পালিয়ে যায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। আর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী থেকে মুক্ত হয় ভোলা। এসময় তারা ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদারের বর্বর নির্যাতনের বর্ননা দেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

বগুড়ার কাহালুর দূর্গাপুর ইউনিয়ন বিএনপিনেতা মরহুম আব্দুস সামাদের স্বরণ সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

১০ ডিসেম্বর ভোলায় মুক্ত দিবস পালিত

Update Time : ০৯:১২:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

মুহাম্মদ আরিফ,স্টাফ রিপোর্টার,ভোলা: ১৯৭১ সালের ১০ ডিসেন্বর পাকিস্তানি হানাদার হাত থেকে মুক্ত হয় ভোলা। এ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় সময় ভোলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সামনে থেকে র‌্যালিটি বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক পদক্ষিণ করে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়।

এসময় জেলা প্রশাসন, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা,
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সন্তান ,কমান্ডসহ বিভিন্ন সংগঠন র‌্যালিতে অংশ গ্রহণ করেন।

র‌্যালি শেষে ১০ ডিসেম্বর উপলক্ষে জেলা প্রশাসকের হলরুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজাদ জাহান সভাপতিত্বে,এসময় বক্তব্য রাখেন, সাবেক জেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাজান ,বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক ভোলা পৌরসভার মেয়র শফিউর রহমান কিরণ, সাবেক উপজেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহফুজুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী আবুর কাশেম ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল ইসলাম প্রমূখ।

এসময় বক্তারা ১৯৭১ সালের মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে পাক হানাদার বাহিনীর সম্মুখ যুদ্ধ হয় ভোলার ঘুইংঘারহাট, দৌলতখান, বাংলাবাজার, বোরহানউদ্দিনের দেউলা ও চরফ্যাশন বাজারে। ওই সব যুদ্ধে শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা শাহাদাত বরণ করেন। পাশাপাশি বহু পাক সেনাও মারা যায়।
পাক-হানাদার বাহিনীরা বহু নারীকে ক্যাম্পে ধরে এনে রাতভর নির্যাতন করে সকাল বেলা নির্মমভাবে হত্যা করে। তৎকালীন সময়ে অগণিত মানুষ মারা যায় ওই হানাদার বাহিনীর হাতে। সেখানে গণকবর দেওয়া হয় নিহতদের। সেটি এখন বধ্য ভুমি। মুক্তিযোদ্ধের সৃস্মিচারণ করে বলেন, ১৯৭১ সালের এই দিনে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবল প্রতিরোধের মূখে টিকতে না পেরে ভোলা থেকে লঞ্চযোগে পালিয়ে যায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। আর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী থেকে মুক্ত হয় ভোলা। এসময় তারা ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদারের বর্বর নির্যাতনের বর্ননা দেন।