মোঃ লিটন চৌধুরী,নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি:নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুনের ১০ বছর আপিল বিভাগে ধীরগতি নিহতদের পরিবারের সদস্যদের ক্ষোভ হতাশা; রায় কার্যকর হলে ক্ষমতাশীন অপরাধীদের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলে মনে করেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।
আজ ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের আলোচিত ৭ খুনের ঘটনার ১০ বছর পূর্ণ হচ্ছে। নির্মম এ হত্যাকান্ডের মাত্র ৩৩ মাস পর জেলা জজ আদালতে রায় ঘোষণা এবং ১৯ মাসে হাইকোর্টে রায় হলেও আপীল বিভাগে সাড়ে ৬ বছরেও এর নিস্পত্তি হয়নি। আপীল আদালতে ধীরগতির কারণে নিহতদের পরিবারের সদস্যদের মাঝে ক্ষোভ হতাশা, ভয় ও অনিশ্চয়তায় বিরাজ করছে।
হাইকোর্টের রায় আপীল বিভাগে বহাল রেখে অবিলম্বে কার্যকর করার দাবী নিহতদের পরিবার সহ সাধারণ মানুষের। এ রায় কার্যকর হলে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং ক্ষমতাশীন অপরাধীদের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলে মনে করেন নারায়ণগঞ্জ নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। জেলা জজ আদালতে ৩৫ আসামীর মধ্যে ২৬ জনকে মৃত্যুদন্ড এবং ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিলেও হাই কোর্ট ১৫ জনের মৃত্যুদন্ড বাকিদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা বহাল রাখেন।
২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ আদালতে মামলায় হাজিরা দিয়ে ফেরার পথে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের লামাপাড়া এলাকা থেকে অপহরণ করা হয় নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম ও আইনজীবি চন্দন সরকারসহ সাতজনকে।
অপহরণের তিনদিন পর শীতলক্ষ্যা নদীর বন্দরের শান্তিরচর থেকে প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, নজরুলের বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম ও আইনজীবি চন্দন সরকারের গাড়িচালক মো. ইব্রাহীম সাত জনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।