Dhaka ১২:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
সড়কে ঝরলো প্রাণ, ট্রলির নিচে পিষ্ট হয়ে বৃদ্ধের মৃত্যু জামায়াত আমীরকে দেখতে হাসপাতালে খেলাফত মজলিসের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ জামায়াত আমীরকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে গেলেন ইসলামী আন্দোলনের নেতারা চিকিৎসা নয়, আগে জাতির কথা— ড.শফিকুর রহমান শহীদদের স্মরণে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের শপথ নিলো নরসিংদী বিএনপি দীর্ঘ ৫ ঘন্টা পর অবরোধ প্রত্যাহার করলেন ইবি শিক্ষার্থীরা বগুড়ায় পুত্রবধূ ও শ্বশুর হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি র‍্যাবের জালে OHCHR মিশন আসছে বাংলাদেশে:জাতিসংঘের সঙ্গে তিন বছরের চুক্তি তারেক রহমানকে কটাক্ষের প্রতিবাদে নরসিংদীতে যুবদলের বিক্ষোভ ও হুঁশিয়ারি সাজিদের মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত দাবিতে শিবিরের টর্চ লাইট মিছিল
নোটিশঃ
প্রিয়" পাঠকগণ", "শুভাকাঙ্ক্ষী" ও প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে জানানো যাচ্ছে:- কিছুদিন যাবত কিছু প্রতারক চক্র দৈনিক ক্রাইম তালাশ এর নাম ব্যবহার করে প্রতিনিধি নিয়োগ ও বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। তার সাথে একটি সক্রিয় চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন গ্রুপ বিভিন্ন ভাবে "দৈনিক ক্রাইম তালাশ"কে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মনে রাখবেন "দৈনিক ক্রাইম তালাশ" এর অফিসিয়াল পেজ বা নিম্নের দুটি নাম্বার ব্যাতিত কোন রকম লেনদেনে জড়াবেন না। মোবাইল: 01867329107 হটলাইন: 01935355252

১৪ বছরের ঈমানি চেতনার শহীদ: ৩০ জুন শহীদ আরমান দিবস

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৮:৪২:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫
  • ১০০ Time View

খাইরুল ইসলাম–ডেস্ক রিপোর্ট◼️

 

বাংলাদেশের ঈমানদার ছাত্রসমাজের ইতিহাসে ৩০ জুন একটি গৌরবোজ্জ্বল ও বেদনাবিধুর দিন। ১৯৯৪ সালের এই দিনে ইসলামবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে ঈমানি প্রতিবাদ করতে গিয়ে শাহাদাত বরণ করেন এক মাত্র ১৪ বছরের কিশোর—শহীদ আরমান (রহ)।

 

শহীদ আরমান কিশোরগঞ্জ শহরের আজিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। পিতা আনোয়ার হোসেন ছিলেন কিশোরগঞ্জ টেলিগ্রাফ অফিসের একজন কর্মচারী। তিন ভাই ও তিন বোনের মধ্যে আরমান ছিলেন সবার ছোট। ছোটবেলা থেকেই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের প্রতি যত্নশীল, মেধাবী, শান্ত স্বভাবের এবং আদর্শবান মুসলিম কিশোর হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

 

১৯৯৪ সালের ৩০ জুন ইসলাম অবমাননাকারী তসলিমা নাসরিনের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী হরতালের ডাক দেওয়া হয়। ২৯ জুন, আছরের নামাজ পড়ে শহীদী মসজিদের খতিব মাওলানা আনোয়ার শাহের কাছে আরমান জানতে চান, “কালকের হরতালে গেলে শহীদ হওয়া যাবে কি না?”

 

পরদিন ফজরের নামাজ পড়ে পরিবারের সদস্যদের জাগিয়ে তোলেন আরমান। সকাল ৬টায় নাস্তা করে মায়ের অনুমতি নিয়ে হরতালের মিছিলে অংশ নিতে রওনা হন।

 

কিশোরগঞ্জ শহরের গৌরাঙ্গবাজার এলাকায় ইমাম ও উলামা পরিষদের নেতৃত্বে মিছিল চলাকালে, বিনা উসকানিতে পুলিশের গুলিতে ঘটনাস্থলেই শাহাদাত বরণ করেন এই সাহসী কিশোর।

 

শহীদ আরমানের আত্মত্যাগ সাধারণ কোনো মৃত্যু নয়, বরং তা ঈমানি চেতনার এক জ্বলন্ত প্রতীক। একজন কিশোর হয়েও তিনি বুঝেছিলেন ধর্মীয় অপমান সহ্য করা যায় না। তাঁর আত্মত্যাগ প্রমাণ করে—আদর্শের পথে চলতে বয়স নয়, প্রয়োজন সাহস, ঈমান ও আত্মোৎসর্গের মানসিকতা।

 

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিস শহীদ আরমানকে ইসলামী আন্দোলনের ইতিহাসে এক অনন্য মাইলফলক হিসেবে বিবেচনা করে। ৩০ জুন দিনটিকে তারা শহীদ আরমান দিবস হিসেবে পালন করে থাকে।

 

এই দিনে ছাত্রসমাজের প্রতি আহ্বান জানানো হয়—

১. ইসলাম বিদ্বেষ ও ধর্মদ্রোহিতার বিরুদ্ধে সাহসিকতার সঙ্গে ঈমানি অবস্থান নিতে

২. শহীদ আরমানের জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে আদর্শিক ও আত্মনির্ভরশীল জীবন গড়তে

৩. ইনসাফপূর্ণ ইসলামি সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নিজেকে প্রস্তুত করতে

 

শহীদ আরমান ছিলেন এক আদর্শিক আলো, যার আত্মত্যাগ আজও আমাদের চোখে জল আনে, বুক ভরে দেয় সাহস ও ঈমানের শক্তিতে।

 

আমরা শহীদ আরমানের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।

আল্লাহ যেন তাঁকে জান্নাতুল ফিরদাউস দান করেন এবং তাঁর রক্তের বিনিময়ে একটি ইনসাফপূর্ণ সমাজ কায়েম করে দেন—এই দোয়া করি সকলের পক্ষ থেকে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

সড়কে ঝরলো প্রাণ, ট্রলির নিচে পিষ্ট হয়ে বৃদ্ধের মৃত্যু

১৪ বছরের ঈমানি চেতনার শহীদ: ৩০ জুন শহীদ আরমান দিবস

Update Time : ০৮:৪২:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫

খাইরুল ইসলাম–ডেস্ক রিপোর্ট◼️

 

বাংলাদেশের ঈমানদার ছাত্রসমাজের ইতিহাসে ৩০ জুন একটি গৌরবোজ্জ্বল ও বেদনাবিধুর দিন। ১৯৯৪ সালের এই দিনে ইসলামবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে ঈমানি প্রতিবাদ করতে গিয়ে শাহাদাত বরণ করেন এক মাত্র ১৪ বছরের কিশোর—শহীদ আরমান (রহ)।

 

শহীদ আরমান কিশোরগঞ্জ শহরের আজিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। পিতা আনোয়ার হোসেন ছিলেন কিশোরগঞ্জ টেলিগ্রাফ অফিসের একজন কর্মচারী। তিন ভাই ও তিন বোনের মধ্যে আরমান ছিলেন সবার ছোট। ছোটবেলা থেকেই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের প্রতি যত্নশীল, মেধাবী, শান্ত স্বভাবের এবং আদর্শবান মুসলিম কিশোর হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

 

১৯৯৪ সালের ৩০ জুন ইসলাম অবমাননাকারী তসলিমা নাসরিনের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী হরতালের ডাক দেওয়া হয়। ২৯ জুন, আছরের নামাজ পড়ে শহীদী মসজিদের খতিব মাওলানা আনোয়ার শাহের কাছে আরমান জানতে চান, “কালকের হরতালে গেলে শহীদ হওয়া যাবে কি না?”

 

পরদিন ফজরের নামাজ পড়ে পরিবারের সদস্যদের জাগিয়ে তোলেন আরমান। সকাল ৬টায় নাস্তা করে মায়ের অনুমতি নিয়ে হরতালের মিছিলে অংশ নিতে রওনা হন।

 

কিশোরগঞ্জ শহরের গৌরাঙ্গবাজার এলাকায় ইমাম ও উলামা পরিষদের নেতৃত্বে মিছিল চলাকালে, বিনা উসকানিতে পুলিশের গুলিতে ঘটনাস্থলেই শাহাদাত বরণ করেন এই সাহসী কিশোর।

 

শহীদ আরমানের আত্মত্যাগ সাধারণ কোনো মৃত্যু নয়, বরং তা ঈমানি চেতনার এক জ্বলন্ত প্রতীক। একজন কিশোর হয়েও তিনি বুঝেছিলেন ধর্মীয় অপমান সহ্য করা যায় না। তাঁর আত্মত্যাগ প্রমাণ করে—আদর্শের পথে চলতে বয়স নয়, প্রয়োজন সাহস, ঈমান ও আত্মোৎসর্গের মানসিকতা।

 

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিস শহীদ আরমানকে ইসলামী আন্দোলনের ইতিহাসে এক অনন্য মাইলফলক হিসেবে বিবেচনা করে। ৩০ জুন দিনটিকে তারা শহীদ আরমান দিবস হিসেবে পালন করে থাকে।

 

এই দিনে ছাত্রসমাজের প্রতি আহ্বান জানানো হয়—

১. ইসলাম বিদ্বেষ ও ধর্মদ্রোহিতার বিরুদ্ধে সাহসিকতার সঙ্গে ঈমানি অবস্থান নিতে

২. শহীদ আরমানের জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে আদর্শিক ও আত্মনির্ভরশীল জীবন গড়তে

৩. ইনসাফপূর্ণ ইসলামি সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নিজেকে প্রস্তুত করতে

 

শহীদ আরমান ছিলেন এক আদর্শিক আলো, যার আত্মত্যাগ আজও আমাদের চোখে জল আনে, বুক ভরে দেয় সাহস ও ঈমানের শক্তিতে।

 

আমরা শহীদ আরমানের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।

আল্লাহ যেন তাঁকে জান্নাতুল ফিরদাউস দান করেন এবং তাঁর রক্তের বিনিময়ে একটি ইনসাফপূর্ণ সমাজ কায়েম করে দেন—এই দোয়া করি সকলের পক্ষ থেকে।