Dhaka ০২:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
সড়কে ঝরলো প্রাণ, ট্রলির নিচে পিষ্ট হয়ে বৃদ্ধের মৃত্যু জামায়াত আমীরকে দেখতে হাসপাতালে খেলাফত মজলিসের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ জামায়াত আমীরকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে গেলেন ইসলামী আন্দোলনের নেতারা চিকিৎসা নয়, আগে জাতির কথা— ড.শফিকুর রহমান শহীদদের স্মরণে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের শপথ নিলো নরসিংদী বিএনপি দীর্ঘ ৫ ঘন্টা পর অবরোধ প্রত্যাহার করলেন ইবি শিক্ষার্থীরা বগুড়ায় পুত্রবধূ ও শ্বশুর হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি র‍্যাবের জালে OHCHR মিশন আসছে বাংলাদেশে:জাতিসংঘের সঙ্গে তিন বছরের চুক্তি তারেক রহমানকে কটাক্ষের প্রতিবাদে নরসিংদীতে যুবদলের বিক্ষোভ ও হুঁশিয়ারি সাজিদের মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত দাবিতে শিবিরের টর্চ লাইট মিছিল
নোটিশঃ
প্রিয়" পাঠকগণ", "শুভাকাঙ্ক্ষী" ও প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে জানানো যাচ্ছে:- কিছুদিন যাবত কিছু প্রতারক চক্র দৈনিক ক্রাইম তালাশ এর নাম ব্যবহার করে প্রতিনিধি নিয়োগ ও বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। তার সাথে একটি সক্রিয় চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন গ্রুপ বিভিন্ন ভাবে "দৈনিক ক্রাইম তালাশ"কে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মনে রাখবেন "দৈনিক ক্রাইম তালাশ" এর অফিসিয়াল পেজ বা নিম্নের দুটি নাম্বার ব্যাতিত কোন রকম লেনদেনে জড়াবেন না। মোবাইল: 01867329107 হটলাইন: 01935355252

PR পদ্ধতি মানে কী — জানুন অনুপাতে প্রতিনিধিত্বের গণতান্ত্রিক সৌন্দর্য

  • Reporter Name
  • Update Time : ১০:৫৮:১৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫
  • ৯১ Time View

দেলোয়ার খান–স্টাফ রিপোর্টার◼️

বর্তমান ব্যবস্থায় কখনো কখনো দেখা যায়, একটি দল ৩৩ শতাংশ ভোট পেয়েই সরকার গঠন করে, অথচ আরেকটি দল ৩৬ শতাংশ ভোট পেয়েও বিরোধী আসনে বসে। গণতন্ত্রের এই অসামঞ্জস্যতা দূর করতে বিশ্বের অনেক দেশ বেছে নিয়েছে PR বা Proportional Representation পদ্ধতি, যার বাংলা অর্থ—অনুপাতে প্রতিনিধিত্ব।

 

জার্মানি, নরওয়ে, অস্ট্রেলিয়া, নেপালসহ অনেক দেশেই PR পদ্ধতি চালু রয়েছে। এর মূল দর্শন খুবই সরল: যত ভোট, তত আসন।

 

এই পদ্ধতিতে ভোটাররা কোনো একক প্রার্থীকে নয়, ভোট দেন একটি দলকে। এরপর সেই দলের প্রাপ্ত ভোটের হার অনুযায়ী সংসদে আসন বণ্টন করা হয়।

 

উদাহরণ স্বরূপ ধরুন:

একটি সংসদে মোট ১০০টি আসন রয়েছে—

দল A পেয়েছে ৪০ শতাংশ ভোট, তারা পাবে ৪০টি আসন,

দল B পেয়েছে ৩০ শতাংশ ভোট, তারা পাবে ৩০টি আসন,

দল C পেয়েছে ৩০ শতাংশ ভোট, তারাও পাবে ৩০টি আসন।

এইভাবে জনগণের রায় নিখুঁতভাবে সংসদে প্রতিফলিত হয়।

PR পদ্ধতির প্রধান সুবিধাগুলো হলো:

কোনো ভোট নষ্ট হয় না,

ছোট দলগুলোরও সংসদে যাওয়ার সুযোগ থাকে,

জনগণের প্রকৃত রায় প্রতিফলিত হয়,

ক্ষমতা একক আধিপত্যে সীমাবদ্ধ না থেকে বিভাজিত থাকে।

এ পদ্ধতিতে নানা মত ও মতাদর্শকে সংসদে জায়গা দেওয়া সম্ভব হয়, যা গণতন্ত্রকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ভারসাম্যপূর্ণ করে তোলে।

 

বাংলাদেশে নির্বাচন ও গণতন্ত্রের স্বচ্ছতা নিয়ে যখন বিভিন্ন সময় প্রশ্ন উঠে, তখন PR পদ্ধতির প্রয়োজনীয়তা আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এ পদ্ধতির বাস্তবায়ন হলে সমাজের সব শ্রেণির মানুষের কণ্ঠস্বর জাতীয় সংসদে প্রতিফলিত হবে। আর এটাই গণতন্ত্রের প্রকৃত সৌন্দর্য।

 

দেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও জনগণের প্রকৃত প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে PR পদ্ধতি হতে পারে সময়ের দাবি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

সড়কে ঝরলো প্রাণ, ট্রলির নিচে পিষ্ট হয়ে বৃদ্ধের মৃত্যু

PR পদ্ধতি মানে কী — জানুন অনুপাতে প্রতিনিধিত্বের গণতান্ত্রিক সৌন্দর্য

Update Time : ১০:৫৮:১৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫

দেলোয়ার খান–স্টাফ রিপোর্টার◼️

বর্তমান ব্যবস্থায় কখনো কখনো দেখা যায়, একটি দল ৩৩ শতাংশ ভোট পেয়েই সরকার গঠন করে, অথচ আরেকটি দল ৩৬ শতাংশ ভোট পেয়েও বিরোধী আসনে বসে। গণতন্ত্রের এই অসামঞ্জস্যতা দূর করতে বিশ্বের অনেক দেশ বেছে নিয়েছে PR বা Proportional Representation পদ্ধতি, যার বাংলা অর্থ—অনুপাতে প্রতিনিধিত্ব।

 

জার্মানি, নরওয়ে, অস্ট্রেলিয়া, নেপালসহ অনেক দেশেই PR পদ্ধতি চালু রয়েছে। এর মূল দর্শন খুবই সরল: যত ভোট, তত আসন।

 

এই পদ্ধতিতে ভোটাররা কোনো একক প্রার্থীকে নয়, ভোট দেন একটি দলকে। এরপর সেই দলের প্রাপ্ত ভোটের হার অনুযায়ী সংসদে আসন বণ্টন করা হয়।

 

উদাহরণ স্বরূপ ধরুন:

একটি সংসদে মোট ১০০টি আসন রয়েছে—

দল A পেয়েছে ৪০ শতাংশ ভোট, তারা পাবে ৪০টি আসন,

দল B পেয়েছে ৩০ শতাংশ ভোট, তারা পাবে ৩০টি আসন,

দল C পেয়েছে ৩০ শতাংশ ভোট, তারাও পাবে ৩০টি আসন।

এইভাবে জনগণের রায় নিখুঁতভাবে সংসদে প্রতিফলিত হয়।

PR পদ্ধতির প্রধান সুবিধাগুলো হলো:

কোনো ভোট নষ্ট হয় না,

ছোট দলগুলোরও সংসদে যাওয়ার সুযোগ থাকে,

জনগণের প্রকৃত রায় প্রতিফলিত হয়,

ক্ষমতা একক আধিপত্যে সীমাবদ্ধ না থেকে বিভাজিত থাকে।

এ পদ্ধতিতে নানা মত ও মতাদর্শকে সংসদে জায়গা দেওয়া সম্ভব হয়, যা গণতন্ত্রকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ভারসাম্যপূর্ণ করে তোলে।

 

বাংলাদেশে নির্বাচন ও গণতন্ত্রের স্বচ্ছতা নিয়ে যখন বিভিন্ন সময় প্রশ্ন উঠে, তখন PR পদ্ধতির প্রয়োজনীয়তা আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এ পদ্ধতির বাস্তবায়ন হলে সমাজের সব শ্রেণির মানুষের কণ্ঠস্বর জাতীয় সংসদে প্রতিফলিত হবে। আর এটাই গণতন্ত্রের প্রকৃত সৌন্দর্য।

 

দেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও জনগণের প্রকৃত প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে PR পদ্ধতি হতে পারে সময়ের দাবি।